ভারতবর্ষে প্রায় দুশো বছর ব্রিটিশরা নৃশংসতা ও লুটপাট চালিয়েছে। এদেশ থেকে কোটি কোটি টাকা লুট করে ব্রিটিশরা তাদের বহু উন্নয়ন করেছে। ভারত লুন্ঠনের জন্য ব্রিটিশ সরকার প্রতিদিন নতুন নতুন উপায় উদ্ভাবন করত। এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে দুই শতাব্দীর শাসনামলে ব্রিটিশরা ভারতকে কতটা লুট করেছে।
২০১৮ সালে বিখ্যাত অর্থনীতিবিদ উৎসা পট্টনায়েক লুটের সম্ভাব্য পরিমাণ এর কথা বলেছিলেন। তিনি ঔপনিবেশিক ভারত ও ব্রিটেনের মধ্যে আর্থিক সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা করেন এবং তার প্রবন্ধে বলেছেন যে ১৭৬৫ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত ব্রিটিশরা মোট ৯.২ ট্রিলিয়ন পাউন্ড লুট করেছিল।
এই পরিমাণের বর্তমান মূল্য ৪৫ ট্রিলিয়ন পাউন্ড ডলার। ভারতীয় মুদ্রার কথা বললে প্রায় তিন হাজার কোটি টাকা সম্পত্তি লুট করেছে ব্রিটিশরা। এই পরিমাণ যুক্তরাজ্যের জিডিপির চেয়ে প্রায় ১৭ গুণ বেশি।
ব্রিটিশদের লুণ্ঠন বাড়ার সাথে সাথে ভারতীয়দের মাথাপিছু আয় কমতে থাকে। পট্টনায়েক তার প্রবন্ধে বলেছেন যে, ১৯০০-০২ সালের মধ্যে ভারতের মাথাপিছু আয় ছিল ১৯৬.১ টাকা। যা ১৯৪৫-৪৬ সালে মাত্র ২০১.৯ টাকায় পৌঁছায়। ঔপনিবেশিক যুগে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার আয়ের বেশির ভাগই সরাসরি লন্ডনে গিয়েছিল।
দেশের যন্ত্রপাতি ও প্রযুক্তি আমদানীর ক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন হয়েছে। ১৯০০ সালে ভারতীয়দের মাথাপিছু খাদ্যশস্যের বার্ষিক ব্যবহার ২০০ কেজি থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের প্রাক্কালে ১৫৭ কেজিতে নেমে আসে এবং ১৯৪৬ সালের মধ্যে ১৩৭ কেজিতে গিয়ে দাঁড়ায়।