News
মানব শরীরে কতদিন পর্যন্ত করোনাভাইরাস সক্রিয় থাকতে পারে, জানালেন ভাইরাস বিশেষজ্ঞ
সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত, তখন সমস্ত বিশেষজ্ঞগণ এই রোগের ভ্যাকসিন আবিষ্কার লেগে পড়েছেন। আর নিয়মিত নতুন নতুন তথ্য উঠে আসছে তাদের গবেষণাগার থেকে। এই মুহূর্তে গোটা ভারতবর্ষে প্রায় সাড়ে ২৯ হাজার মানুষ করোনাতে আক্রান্ত হয়েছেন যার মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ১৩৭৩ জন মানুষের।
সারা বিশ্ব এখন লকডাউনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এই বিপদ সামনে রেখে কেউ বেরিয়ে আসতে চাইছে না। এমনকি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দাবি করেছেন, করোনা থেকে মুক্তি পেতে গৃহবন্দি থাকা সবচেয়ে বুদ্ধিমানের কাজ।
এছাড়াও যে সমস্ত রোগী সুস্থ হয়ে উঠছেন তাদের রক্ত রস বা প্লাজমাকে কাজে লাগিয়ে এই ভাইরাসে যে সকল ব্যক্তিরা আক্রান্ত হয়েছে তাদের সারিয়ে তোলার চেষ্টা চালাচ্ছে বিশ্বের কয়েকটি উন্নতশীল দেশের চিকিৎসকগণ। এই পদ্ধতিকে প্লাজমা থেরাপি বলা হয়।
তবে এই মুহূর্তে প্লাজমা থেরাপি করোনা মুক্তির একমাত্র উপায় কিনা সে বিষয়েও নিশ্চিতভাবে বলছে না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)। তারা জানিয়েছে যে, চিকিৎসার পরেই যে মানুষের শরীরে যে এন্টিবডি তৈরি হচ্ছে এমনও প্রত্যক্ষভাবে প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তাই এই চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্লাজমা থেরাপির ওপর খুব একটা নির্ভরশীল হওয়া যাচ্ছে না।
এই প্রসঙ্গে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ সায়েন্স এডুকেশন এন্ড রিসার্চ এর অধ্যাপক ইন্দ্রনীল বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, যে ব্যক্তি করোনা থেকে সুস্থ হয়ে উঠছেন, এরপর যে তিনি আবার এই ভাইরাসে আক্রান্ত হবেন না তা কিন্তু একেবারেই নয়। দুবার করে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঘটনাও জানা গিয়েছে আর্জেন্টিনা-ইতালি এমনকি মহারাষ্ট্র থেকেও।
ডক্টর বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, মানব শরীরে করোনা ভাইরাস ১৪ দিন বা ২০ দিন নয়, একটানা ৩৭ দিন পর্যন্ত সক্রিয় থাকতে পারে। সম্প্রতি ফ্রান্সের বিজ্ঞানীরা তাদের একটি গবেষণায় এমনই তথ্য পেয়েছে। এমনকি জানা গিয়েছে যে সকল ব্যক্তিরা একবার করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরে সুস্থ হয়ে উঠেছেন, কোনরকম অসতর্কতার ফলে পুনরায় তিনি করোনাতে আক্রান্ত হতে পারেন।
