News
চীনে কিভাবে সেনা নিয়োগ হয়? সেনা ত্যাগ করলে তাকে কোন শাস্তি দেওয়া হয়?
পূর্ব লাদাখে ভারত-চীন সীমান্তে সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে। চলতি বছরে প্রথম ৫ ই মে থেকে দুই পক্ষের সামরিক বাহিনীর মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। চীনা সেনাবাহিনী নিয়ন্ত্রণ রেখা পেরিয়ে বারবার ভারতের সীমান্ত দখল করতে আসে। প্রায় এক মাস ধরে চলমান উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি ১৫ ই জুন রাতে ভয়াবহ রূপ নেয়।
দু’দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে প্রবল সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন এবং ৪৩ জন চীনা সেনা নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গ্যালভান ভ্যালিতে এই সংঘর্ষের পরে, আন্তর্জাতিক গোষ্ঠীর কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। এক ব্রিটিশ গণমাধ্যম একে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের সূত্রপাত বলে অভিহিত করেছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দুটি দেশকে শান্তি বজায় রাখতে এবং আলোচনার পথ অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছে।
চীন দাবি করেছে যে তাদের বিশ্বের বৃহত্তম সেনাবাহিনী রয়েছে। তবে জানেন কি, চীনা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম কী এবং তারা কোন নীতি নিয়ে কাজ করে?
∆ চাইনিজ আর্মি নিয়োগ:
২০১৮ থেকে পিপলস লিবারেশন আর্মি সংগঠন চীনের সেনা নিয়োগ প্রক্রিয়াটি শুরু করেছে। এই সামরিক নিয়োগ প্রক্রিয়াটি চীনের সামরিক পরিষেবা আইনের আওতায় আসে। এতে দেশের আরও বেশি সংখ্যক যুবক সেনাবাহিনীতে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ হয়।
∆ চীনা সেনা ছেড়ে গেলে কী ঘটে?
পিপলস লিবারেশন আর্মি নামক ইংরেজি ওয়েবসাইটের একটি প্রতিবেদনে ঝাং নামে একজন চীনা সৈনিককে শাস্তি দেওয়ার বিবরণ দেওয়া হয়েছে। তিনি সেনাবাহিনী থেকে চাকরি ছেড়ে দিয়েছিলেন, এরপরে তার জীবন নরকে পরিণত হয়েছিল।
ঝাংকে দুই বছরের জন্য বিদেশ ভ্রমণ, ট্রেন ও বাস ভ্রমণের উপর নিষেধাজ্ঞা, সম্পত্তি ক্রয় নিষিদ্ধকরণ, লোন ও বীমা বীমা নিষেধাজ্ঞা, নতুন ব্যবসা খোলার এবং উচ্চ শিক্ষার জন্য নিজেকে নাম লেখানো সহ মোট আটটি জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
এর সাথে, ঝাংকে আজীবন সরকারী বা বেসরকারি চাকরীর জন্য নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এর বাইরেও অন্য কোন চাকরির জন্যও তাকে অযোগ্য বলে ঘোষণা করা হয়েছিল।
শুধু তাই নয়, তার প্রশিক্ষণে ব্যয় করা প্রায় তিন লাখ টাকা সেনাবাহিনীকে দিতে হয়েছিল। ঝাংয়ের পক্ষে এই ঋণ শোধ করা খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। কেউ একবার সেনাবাহিনী ত্যাগ করলে তার জীবন চীনারা এভাবে নরক বানিয়ে দেয়।
