একটি আত্মার যাত্রা: মৃত্যুর পর আত্মা কিভাবে যমলোকে পৌঁছায়, কতদিন লাগে জানেন?

মৃত্যুর পর আত্মার যাত্রা কিভাবে হয় কত দিনে যমলোকে গিয়ে পৌঁছায় তার তথ্য গরুড় পুরাণে দেওয়া আছে। তথ্য অনুসারে, ব্যক্তির মৃত্যুর পরে আত্মাকে যমলোক পর্যন্ত ভ্রমণ করতে হয় যেখানে তার কৃতকর্মের হিসাব করা হয়। আত্মা একদিনে ২০০ যোজন পরিভ্রমণ করে এবং একটি যোজনে ৮ কিলোমিটার ভিত্তিতে একদিনে ১৬০০ কিলোমিটার ভ্রমন করতে পারে।

গরুড় পুরাণ অনুসারে, বৈতরণী নদী ছাড়াও যমলোকের যাত্রা ৮৬ হাজার যোজন। এই যাত্রায় আত্মাকেও বৈতরণী নদীর কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয় যাতে অত্যন্ত বিপদজনক বলে বর্ণনা করা হয়েছে। যমলোকে যাওয়ার সময় আত্মাকে ১৬টি পুরী অর্থাৎ ভয়ঙ্কর শহরের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।

Image

এই সময় আত্মাও মাঝেমাঝে থেমে যাওয়ার সুযোগ পায় আর নিজের কৃতকর্ম ও প্রিয়জনদের কথা মনে করে বিষন্নতা অনুভব করতে থাকে। এও ভাববে থাকে যে তার কৃতকর্মের ভিত্তিতে সে কি ধরনের শরীর পাবে বা কি হবে?

যমলোকের পথেও নরকের সন্ধান পাওয়া যায়, যা অন্ধতম নামে পরিচিত। এই জায়গার তাপমাত্রা খুব বেশি হয় এবং অন্যদিকে অন্ধকারাচ্ছন্ন, কর্দময় এবং পোকামাকড় থাকে। যাত্রার এই পর্যায়ে আত্মাকে অনেক দুঃখের সম্মুখীন হতে হয়।

Image

এরপর আত্মা যমরাজের কাছে পৌঁছায় এবং পৌঁছানোর সাথে সাথে চিত্রগুপ্ত পাপে নিমগ্ন মানুষের আত্মার সম্পর্কে বলেন। যমলোকে আত্মা ব্রহ্মাজীর পুত্র শ্রাবণ এবং তার স্ত্রী শ্রাবনীর সাথে দেখা করে। যারা যমলোকে পৌঁছে তাদের কথা এই দুজন শোনেন এবং তাদের কাজে হিসাব রাখেন। যমরাজ আত্মাদের কর্মের ভিত্তিতে ফল দেন।

আত্মার কর্ম হিসাব করতে গিয়ে যমরাজ চন্দ্র, সূর্য, দিন-রাত্রি জল, আকাশ থেকেও সাক্ষী নেন কারণ তারাও সকলের কর্ম সম্পর্কে অবগত। নিজের কৃতকর্মের শাস্তি ভোগ করার পর অবশিষ্ট পাপ ও পূণ্য ভোগ করার জন্য আত্মাকে আবার জন্ম নিতে হয়।