২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনাল ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য মাত্র ১৩ রান বাকি। ক্রিজে রয়েছেন সেট ব্যাটসম্যান মিসবাহ-উল-হক। সেসময় অধিনায়ক ধোনি অনভিজ্ঞ বোলার যোগিন্দর শর্মার হাতে বল তুলে দিয়ে সবাইকে অবাক করে দেন। শেষ মুহূর্তে টানটান উত্তেজনার পারদকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছিল এমন সিদ্ধান্তটি।
অধিনায়ক হিসেবে মহেন্দ্র সিং ধোনি একেবারেই নতুন, তবে তার অভিজ্ঞতায় দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছিলেন একথা অনস্বীকার্য। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় সিনিয়র খেলোয়াড়রা আগ্রহ না দেখিয়ে সরে যান, তখন দলের নেতৃত্বভার দেওয়া হয় মহেন্দ্র সিং ধোনিকে।
ইতিহাস সাক্ষী ছিল এর আগে যতবারই ভারত-পাকিস্তান বিশ্বকাপের মঞ্চে মুখোমুখি হয়েছে ততোবারই হেরেছে পাকিস্তান। তবে এটা ছিল টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটের বিশ্বকাপ। কিন্তু ধোনিও সেই জয়ের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখলেন। শেষ ওভারে পাকিস্তানের জয়ের জন্য ১৩ রান বাকি আর হাতে রয়েছে একটি উইকেট। যোগিন্দর শর্মার হাতে বল তুলে দিয়ে গুরুমন্ত্র দিতে ধোনি ছুটে এলেন।
যোগিন্দর শর্মা একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না শেষ ওভারটি করার জন্য। যোগিন্দর ইতস্তত ভাবে বললেন, ‘যদি ডিফেন্ড করতে না পারি।’ জবাবে মাহি বলেন, ‘তুমি ওর দুর্বল জায়গায় বল করবে, যে করেই হোক ওকে আউট করতে হবে। ভয় পাবে না। যদি ম্যাচটি হেরেও যাই, তাহলে সমস্ত দায়ভার আমি নিয়ে নেব।’
প্রথম দু’টি বল খারাপ হওয়ার পর, ম্যাচটি পাকিস্তানের দখলে চলে যায়। তখন ৪ বলে মাত্র ৬ রান বাকি। কিন্তু সেই টানটান উত্তেজনার মাঝে ঐতিহাসিক ভুল করে বসেন মিসবাহ-উল-হক। তিনি চেয়েছিলেন পিছনদিকে বলটিকে বাউন্ডারি পাঠাবেন। কিন্তু বলটি সরাসরি শ্রীশান্তের তালুবন্দি হয়। এরপর বাকিটা ইতিহাস…! প্রথম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানকে হারিয়ে শিরোপা জেতে ভারতীয় দল।
প্রসঙ্গত, প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীরের ৭৫ রান (৫৪ বল) ও রোহিত শর্মার ১৬ বলে অপরাজিত ৩০ রানের দৌলতে ভারতীয় দল ১৫৭ তুলতে সক্ষম হয়। জবাবে পাকিস্তানি দল ১৯.৩ ওভারে ১৫২ রানে গুটিয়ে যায়। ইরফান পাঠান ও আরপি সিং ৩টি করে উইকেট নিয়েছিলেন।