কোন কারণে সঙ্গীত জগতে পা রাখেন হিমেশ রেশামিয়া, এর পেছনে রয়েছে এক মর্মান্তিক ঘটনা!

Himesh Reshammiya: হিমেশ রেশামিয়ার নাম শোনেননি এমন সঙ্গীতপ্রেমী মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ১৯৭৩ সালে মুম্বাইয়ে জন্ম তার। তিনি কেবল সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেই নন, গায়ক হিসেবেও পরিচিত। ১১ বছর বয়সেই তার বড় দাদাকে হারান হিমেশ। এরপর পুরো পরিবারের শোকের ছায়া নেমে আসে। তার বাবার ইচ্ছে ছিল যে তার বড় ছেলে একদিন বিখ্যাত গায়ক হবেন।

Image

সেই সময় বাবার অপূর্ণ ইচ্ছা পূরণ করার উদ্দেশ্যেই সঙ্গীত জগতের নিজের ক্যারিয়ার গড়ার সিদ্ধান্ত নেন হিমেশ। মাত্র ১৬ বছর বয়স থেকেই সঙ্গীত পরিচালনা শুরু করেন তিনি। ছোট পর্দায় একাধিক শো এর প্রযোজনাও করেছেন তিনি। হিমেশের বন্ধু অভিনেতা সালমান খান এর মাধ্যমেই চলচিত্রে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে অভিষেক ঘটে।

Image

সালমান খান হিমেশকে ‘পিয়ার কিয়া তো ডর না কিয়া’ সিনেমার জন্য সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে জতিন-ললিত এবং সাজিদ-ওয়াজিদ এর সাথে কাজ করার সুযোগ করে দেন। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে হিমেশের সবচেয়ে বড়ো সাফল্য আসে ২০০৩ সালে তেরে নাম সিনেমার মাধ্যমে।

শুধু গান গাওয়া বা সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেই নন, তিনি বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ও করেছেন। এর মধ্যে ‘আপ কা শুরুর’ ছবি দিয়ে তার আত্মপ্রকাশ হয়। এক বছরের মধ্যে ৩৬টি সুপারহিট গানের সুর দিয়ে রেকর্ড গড়েন হিমেশ রেশামিয়া। ‘আশিক বানাইয়া আপনে’ চলচিত্রে প্লে-ব্যাক এর জন্য হিমেশ সেরা প্লে-ব্যাক সঙ্গীত শিল্পীর পুরষ্কারে ভুষিত হন।

Image

তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললে, খুব কম বয়সে বিয়ে করে নেন হিমেশ। মাত্র ২১ বছর তার প্রেমিকা কোমলের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের এক সন্তানও রয়েছে। যদিও ২২ বছর পর তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। ২০১৭ সালে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন হিমেশ রেশামিয়া। অভিনেত্রী সোনিয়া কপূরের সাথে ফের নতুন জীবন শুরু করেন।