আমাদের মন এবং শরীর একে অপরের পরিপূরক, একটি সুস্থ না থাকলে অপরটিও অসুস্থতার লক্ষণ। তবে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কখনোই ঔষধ গ্রহন করবেন না। কিন্তু আপনি নিজে থেকেও এই সমস্যার মোকাবিলা করতে পারেন। নিজেকে সুস্থ রাখতে হলে দুই দিকে খেয়াল রাখতে হবে সেই জন্য এমন কিছু খাবার খাবেন যা শরীরের পক্ষে ভাল এবং কিছু ব্যায়াম করতে হবে যা স্বাস্থ্যের পক্ষে উপকার। চলুন জেনে নেওয়া যাক –
১) শরীরের মধ্যে মস্তিষ্ক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ তাই এটিকে উন্নত রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বৃদ্ধি করতে টমেটো, গ্রিন টি এবং সামুদ্রিক মাছ ইত্যাদি খাওয়া উচিত
২) আমাদের মস্তিষ্কের পাশাপাশি হৃদপিণ্ডকেও খুব সুস্থ ও সতেজ রাখতে হয়। যে কারণে নিয়মিত প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি এবং ফলমূল এছাড়াও আঁশযুক্ত খাবার খাওয়া উচিত। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে আপেল, ডাল জাতীয় খাবার, ডিমের হলুদ অংশ হৃদপিন্ডের জন্য খুবই উপকারী।
৩) কিডনি দেহের ছাঁকনি হিসেবে কাজ করে, তাই আপনি যা খাবেন, তার বর্জ্য অংশগুলি সেখানে গিয়ে জমা পড়ে। সেজন্য কিডনির অপর কোনো রকম চাপ না দিয়ে খুবই সহজ পাচ্য খাবারগুলো খাওয়া উচিত যাতে লবণ ও সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকে। তাই অতিরিক্ত পরিমাণে জল পান করা উচিত যাতে সেই খারাপ পদার্থ গুলি খুব সহজেই কিডনির মাধ্যমে শরীর থেকে বেরিয়ে যায়।
৪) বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের হাড়ের যত্ন রাখা উচিত। সেই জন্য নিয়মিত হাঁটাচলা শরীরচর্চা করলে হাড় মজবুত এবং হাড়ের কোন সমস্যা দেখা দেয় না। তবে পুষ্টিকর খাবার না খেলে হাড়ের ক্ষয় হতে শুরু হয় এবং বয়স কালে হাড়ের সমস্যায় পড়তে হয়। এই জন্য নিয়মিত দুধ পান করা উচিত কারণ এর মধ্যে রয়েছে ক্যালসিয়াম।
৫) আমরা প্রায়ই পেটের কোন না কোন সমস্যায় ভুগতে থাকি। তবে এটা ভুলে গেলে চলবে না শুধুমাত্র ভালো খাবার খেলেই পেট ভালো থাকবে এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। এর জন্য আপনাকে নিয়মিত শরীরচর্চা করতে হবে। দিনে দুই বেলা হাঁটাচলা করুন এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন।
৬) বিবাহিতদের ক্ষেত্রে সুখী জীবনের জন্য বিশেষ কিছু খাবার এবং শরীরচর্চার দরকার। তাই শারীরিকভাবে সুখ পেতে গেলে তরমুজ, বেদনা, ডুমুর এবং ডিম খাওয়া উচিত। এর ফলে আপনার শরীর এবং মন দুটোই ভাল থাকবে। সবশেষে, আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমই হল ফিটনেস থাকার সেরা উপায়।