আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এমন কিছু ব্যাটসম্যান ছিলেন যারা আক্রমনাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে পরিচিত। যেদিন তাদের ব্যাট চলেছে প্রতিপক্ষ দলের বোলারদের অবস্থা কাহিল হয়েছে। ক্রিজে তারা যতক্ষণ টিকে থাকতেন চার ছক্কার বন্যা বইয়ে দিতেন। সম্ভবত এই কারণেই তারা সেঞ্চুরি হাঁকাতে গিয়ে কখনও ১০০টি বলের মুখোমুখি হননি। এই প্রতিবেদনের সেই তিন ব্যাটসম্যানের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:
৩) ইজাজ আহমেদ:
ইজাজ আহমেদ ছিলেন পাকিস্তানি দলের একজন শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার। তিনি বড় বড় ছক্কা হাঁকানোর জন্য পরিচিত ছিলেন। ১৯৯৭ সালে তিনি মাত্র ৬৮ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ভারতীয় বোলিং আক্রমণকে ধ্বংস করেছিলেন। এই ইনিংসে তিনি ৯টি ছক্কা সহ ১৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন, যা ওয়ানডেতে তার সর্বোচ্চ স্কোর।
পাকিস্তানের এই মারকুটে ব্যাটসম্যান ২৫০টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে ৩২.৩৩ গড়ে ৬৫৬৪ রান করেছেন। এর পাশাপাশি তিনি ১০টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন কিন্তু কখনোই ১০০টি বলের মুখোমুখি হননি। ২০০৩ সালে ইজাজ আহমেদ আনুষ্ঠানিকভাবে ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।
২) বীরেন্দ্র শেহবাগ:
বীরেন্দ্র শেহবাগ ছিলেন তার সময়ের বোলারদের কাছে এক দুঃস্বপ্নের মতো। বেশিক্ষণ তার ক্রিজে টিকে থাকা মানেই হলো প্রতিপক্ষ দলের ওপর অতিরিক্ত চাপ। শেহবাগ কেবল সাদা বলের ক্রিকেটেই নয়, লাল বলেও নিজস্ব স্টাইলে ব্যাটিং করতেন। তার প্রথম ওয়ানডে সেঞ্চুরি আসে মাত্র ৬৯ বলে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে।
প্রাক্তন ভারতীয় এই ওপেনার একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ২৫১টি ম্যাচ খেলেছেন, যেখানে তিনি ১০৪ স্ট্রাইক রেট সহ ৩৫.০৫ গড়ে ৮২৭৩ রান করেছেন। তার সর্বোচ্চ স্কোরটি হল ২১৯ রান। শেহবাগ ১৫টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন কিন্তু কখনও শতাধিক বলের মুখোমুখি হননি।
১) এবি ডি ভিলিয়ার্স:
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার এবি ডি ভিলিয়ার্স একজন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান হওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে কতটা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন তা সকলেরই জানা। ২০১৫ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে একটি ওয়ানডে ম্যাচে তিনি মাত্র ৩১ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। সম্ভবত এই রেকর্ডটি কারও পক্ষে আর ভাঙ্গা সম্ভব না।
এবি ডি ভিলিয়ার্স দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ২২৮টি একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন, যেখানে তিনি ১০১ স্ট্রাইক রেট সহ ৫৩.৫০ গড়ে ৯৫৭৭ রান করেছেন। তার সর্বোচ্চ স্কোরটি হল ১৭৬ রান। তিনি ২৫টি সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন, কিন্তু কখনও ১০০টি বলের মুখোমুখি হননি। গত বছরে তিনি সমস্ত ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসর নেন।