আমাদের শরীরের সৌন্দর্যের মধ্যে চুল হচ্ছে একটি গুরুত্বপূর্ণ। চুলের স্বাস্থ্য যদি খারাপ হয়ে যায় তাহলে সেটা প্রভাব গিয়ে পড়ে আমাদের চেহারার উপর। যার চুল যত বেশি ঘন, তার চেহারার সৌন্দর্য ততবেশি হবে। তবে যাদের অকালেই চুল খুবই দ্রুত হারে পড়তে শুরু করেছে তাদের সৌন্দর্যের উপর ঘাটতি পড়বে। চলুন জেনে নেওয়া যাক চুল পড়া বন্ধ করার কয়েকটি অব্যর্থ টিপস।
প্রথমে আপনাকে চুল পরার আসল কারণটি খুঁজে বের করতে হবে। যেমন একটি জিনগত সমস্যা কিংবা অন্যান্য কারনে হয়ে থাকে। এর জন্য আপনি চিকিৎসকের সাহায্য নিতে পারেন। সঠিক রোগ নির্ণয় করতে পারলে তবেই আপনার চুল পড়া সমস্যা কে রোধ করা যাবে।
১) নারকেলের তেল:- চুলের স্বাস্থ্য ঝলমল করতে নারকেলের উপকারিতা অনস্বীকার্য। যদি খুব দ্রুত হারে আপনার চুল পড়া শুরু করে তাহলে নারকেল তেল নিয়ে হালকা করে মালিশ করতে পারেন এর ফলে আপনার চুল পড়ার আশঙ্কা অনেকটাই কমে যাবে। চুলের উন্নতিতে পটাশিয়াম এবং প্রোটিন দুটোই খুবই অপরিহার্য যা নারকেল তেলের মধ্যে এটি পাওয়া যায়। সপ্তাহ দুয়েক এমনটা করতে থাকলে আপনার ধীরে ধীরে চুল পড়া সমস্যা দূর হয়ে যাবে।
২) অ্যালোভেরা:- চুল পড়া বন্ধ করতে এলোভেরা কার্যকারিতা খুবই বেশি। স্নানের কিছুক্ষণ আগে চুলের মধ্যে অ্যালোভেরা ভালভাবে লাগিয়ে মালিশ করার পর ধুয়ে ফেলুন। এটি মাথার স্ক্যালপের উন্নতি ঘটায় যার ফলে চুলের গোড়া মজবুত হয়।
৩) দই লেবু এবং মধুর প্যাক:- এই তিনটি উপাদান কে একসাথে ভালোভাবে মিক্স করে চুলের মধ্যে এই প্যাকটি লাগাতে পারলে চুলের সৌন্দর্য বহুগুণে বৃদ্ধি পায়। কারণ এর মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি এবং প্রোটিন যা চুলের স্বাস্থ্য উপকারিতার ক্ষেত্রে অপরিহার্য।
৪) মেথি:- মেথি চুল ঝরে যাওয়ার পক্ষে খুবই উপকারী একটি উপাদান। সারারাত এটি জলে ভিজিয়ে পরদিন সকালে গুঁড়ো করে নিন তারপর স্নানের কিছুক্ষণ আগে লাগিয়ে নিন সেই জল সমেত। এভাবে কিছুদিন করলে চুল পড়া বন্ধ হয়ে গিয়ে নতুন চুল গজাতে শুরু করবে।
৫) নিম পাতার রস:- এটি কেবল ত্বকের পক্ষে উপকার না এটাই আমাদের চুলের পক্ষে যথেষ্ট উপকারী। নিম পাতার রস ভালোভাবে গরম জলের মধ্যে ফুটিয়ে নিন। এরপর সেটি বোতলে ভরে টানা এক সপ্তাহ ধরে শ্যাম্পু করার পর সেই নিম জল দিয়ে ধুয়ে নিন। দেখবেন চুল ঝরা দূর হয়ে গেছে এমনকি খুশকিও দূর হয়ে যাবে।