এত বড় বড় প্রানী থাকতে গণেশ ইঁদুরকে বাহন হিসেবে বেছে নিলেন কেন

বিশ্বে এত জীবজন্তু থাকতে গণেশ শেষমেশ একটা পুঁচকে ইঁদুরকে বেছে নিলেন কেন? বাহন মানে তো বহন করে নিয়ে যায়, কিন্তু এত ছোট ইঁদুরের বুকে কিভাবে সম্ভব গণপতিকে বহন করে নিয়ে যাওয়া। যদিও এর পেছনে রয়েছে এক পৌরাণিক কাহিনী।

স্বর্গে ইন্দুপুরীতে ইন্দ্রের সভায় গান গেয়ে সকলের মনোরঞ্জন করতেন ক্রঞ্চ নামে এক গন্ধর্ব। একদিন সেই সময় বামদেব নামে এক ঋষি উপস্থিত হন এবং বেশিরভাগ গলায় গান গাইতে শুরু করেন। সেই গান শুনে নিজের হাসি থামাতে পারেনি গন্ধর্ব ক্রঞ্চ। এরপর সেই হাসি দেখে ক্ষুব্ধ হয়ে পড়েন বামদেব।

বামদেব ক্রঞ্চকে অভিশাপ দেন। সেই অভিশাপে ক্রঞ্চ ইঁদুর হয়ে যান। ওই ঋষি অভিশাপ দেন যে তিনি আর কোনদিন গান গাইতে পারবেন না। তখনই তিনি নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চান। কিন্তু তাতে বিশেষ কোনো ফল হয়নি, তিনি ইঁদুর হয়ে যান এবং এসে পড়েন মর্তের খোলা মাঠে।

তবে বামদেব ঋষি বলেছিলেন যদি কোনদিন গণেশ তাকে বাহন করেন তবেই তার মুক্তি মিলবে। যাইহোক সেই মাঠের কাছেই ছিল পরাশর মুনির কুটির। সেই ক্রঞ্চ ইঁদুর নিজের খাবারের সন্ধানে হানা দিতে শুরু করেন, এদিকে ইঁদুরের উৎপাতে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন সেখানকার বাসিন্দারা।

এরপর একদিন গণেশ সেই মনির কুটিরে পৌঁছান। তিনি জানতে পারেন ওই ইঁদুরের কুকীর্তির কথা। এরপর গণেশ নিজেই তখন ওই ইঁদুরটিকে ধরতে উদ্ধত হন এবং ধরেও ফেলেন। কিন্তু ক্রঞ্চ ইঁদুর তার নিজের আসল পরিচয় দিয়ে সব কথা খুলে বলেন গণেশকে। বলেন, বামদেব বলেছিলেন যে স্বয়ং গণপতি তাকে যদি বহন করেন তবে তার দুঃখ খুঁজবে। গণেশ একথা শোনা মাত্রই তিনি তার নিজের বাহন হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন।