বলিউডে কুকীর্তির শেষ নেই! সম্প্রতি সুশান্ত সিং রাজপুতের অকালে চলে যাওয়ার পর বি-টাউনের অন্ধকার জগতটা সকলের সামনে প্রকাশ্যে এসেছে। আর বলিউডের সংকটমোচন হিসেবে বারবার আবির্ভূত হয়েছেন দেশের প্রথম সারির আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডে। সঞ্জয় থেকে সালমান, রিয়া চক্রবর্তী থেকে এবার শাহরুখপুত্র আরিয়ান খান — প্রত্যেকের আইনি মামলায় লড়েছেন। কিন্তু বারবার বলিউড কেন সতীশকেই বেছে নেয়? তার বিশেষত্ব কি? তার পারিশ্রমিকই বা কত?
১৯৯৩ সালে মুম্বাই বিস্ফোরক হামলায় বলিউডের তারকা সঞ্জয় দত্তের হয়ে আদালতে লড়েন আইনজীবী সতীশ। আইনজীবী মহলের শোনা যায়, সতীশ মানশিন্ডের জোরদার সওয়াল জবাবের জন্যই বিস্ফোরণ মামলা থেকে রেহাই পান সঞ্জয় দত্ত। তারপর থেকেই মুম্বাইয়ের আনাচে-কানাচে তার নাম ছড়াতে শুরু করে।
এরপর কৃষ্ণসার হরিণ শিকার মামলায় সালমানের হয়ে তিনি দাঁড়িয়ে ছিলেন। শেষ পর্যন্ত তাকেও রক্ষা করেন সতীশ। ২০০২ সালে সালমান খান যে মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর সংক্রান্ত মামলায় জড়িয়েছিলেন, সে বারও আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সতীশ মানশিন্ডে এবং সালমানকে জামিন দিয়েই ছাড়েন।
শুধু সালমান খান বা সঞ্জয় দত্ত নয়, সুশান্ত সিং রাজপুতের আকস্মিক মৃত্যু মামলায় রিয়া চক্রবর্তীর হয়েও আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে ছিলেন সতীশ। যদিও তখন একটি বিতর্ক এর জন্ম দিয়েছিল। তবে প্রশ্ন উঠেছিল সতীশ এর পারিশ্রমিক নিয়ে।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী জানা গেছে, সতীশ মানশিন্ডে আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে একবার সওয়াল-জবাব করতে ১০ লক্ষ টাকা নিয়ে থাকেন। সেই সময় রিয়া চক্রবর্তীর হয়ে যখন তিনি ওকালতি করছিলেন, তখন প্রশ্ন উঠেছিল সতীশ এর মত আইনজীবীর খরচ সামলাচ্ছেন রিয়া।
এই প্রসঙ্গে একটি মজার ঘটনা জানিয়ে রাখি। গত বছর একটি সাক্ষাৎকারে আইনজীবী সতীশ lকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, “বলা হয় নাকি আপনার পারিশ্রমিক ১০ লক্ষ টাকা এটা কি সত্যি? সতীশ মৃদু হেঁসে জবাব দিয়ে বলেন, “যারা আমার পারিশ্রমিক নিয়ে ১০ লক্ষ টাকা বলেছেন, সেটা কমপক্ষে ১০ বছর আগের পুরোনো কথা। তাহলে এখন হিসেব করে নিন।”