ভগবত গীতার এই চারটি সহজ উপদেশ মেনে চললে জীবনে উন্নতি অনিবার্য

ভগবৎ গীতা হিন্দুদের ধর্মগ্রন্থ যা পাঠ করলে জীবনে অনেক উন্নতি সাধন করা যায়। ভগবত গীতায় কৃষ্ণ অর্জুনকে যে উপদেশ দিয়েছিলেন সেগুলি শুধুমাত্র উপদেশ ছিল তা নয় সেগুলি ছিল জীবনে এগিয়ে চলার সঠিক পথনির্দেশিকা। জীবনে উন্নতি সাধন করার জন্য গীতায় উল্লেখিত পাঁচটি উপদেশ নীচে উল্লেখ করা হল।

১) জীবনে আপনার ভূমিকা:

জীবনে একাধিক ভূমিকা পালন করার চেষ্টা না করাই ভালো। আপনি যখন যে ভূমিকায় থাকবেন সেখানে নিজেকে সম্পূর্ণভাবে উৎসর্গ করার চেষ্টা করবেন। এর দ্বারাই আপনার কর্মক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার সম্ভব হবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, অর্জুন যখন যুদ্ধ করেছিলেন তখন তিনি শুধুমাত্র যোদ্ধার ভূমিকা পালন করেছেন। তখন তিনি ভাই,পিতা বা সন্তানের ভূমিকা পালন থেকে বিরত ছিলেন‌।

Bhagavad Gita wasn't always India's defining book. Another text ...

২) আপনার কর্মের লক্ষ্য:

অবশ্যই আপনার যে কোনো কর্মের প্রধান লক্ষ্য হবে সাফল্য লাভ। কিন্তু সব কর্মে যে সাফল্য আসবে তা নয় ব্যর্থতাও আসতে পারে। কিন্তু এই ব্যর্থতার চিন্তা যদি কর্ম করার আগে থেকেই আপনার মনে ঘুরতে থাকে তাহলে আপনি সেই কাজের প্রতি উৎসাহ হারিয়ে ফেলবেন।

আর এই কারণে কোনো কর্মের শেষ পরিণাম কি হবে তা না ভেবেই আপনাকে কর্ম করে যেতে হবে। অর্থাৎ কর্ম করে যান কোনো ফলের আশা না করে। গীতার ‘নিষ্কাম কর্ম’-এর তত্ত্ব উদ্ভব হয়েছে এই ভাবনা থেকেই।

৩) কোন কর্ম করার আগে আপনার করণীয় কি:

Bhagavad Gita as a Smriti with qualities of Sruti ...

কোন কর্ম শুরু করার আগে সেই বিষয় সম্পর্কে আপনাকে ভালো ভাবে ভেবে জেনে নিতে হবে। কিন্তু কর্ম শুরু করার পর সেই কর্ম শেষ করাই হবে আপনার একমাত্র লক্ষ্য। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, আপনি যদি জলে ঝাঁপ দেন তবে সেখানে আপনার একটাই লক্ষ্য হবে যে সাঁতরে তীরে ওঠা। 

৪) কোন পথে আপনি এগোবেন:

অবশ্যই আপনাকে নীতির পথে এগোতে হবে। শুধু তাই নয়, আপনি যেখানেই কোনো দুর্নীতি দেখবেন সেখানে চুপ করে না থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়তে হবে। দুর্নীতি সম্পূর্ণ শেষ না হওয়া অব্দি ক্ষান্ত হওয়া উচিত নয়।

উপরিক্ত নিয়মগুলো মেনে চললে ভগবত গীতার মতে, আপনি জীবনের সার্বিকভাবে উন্নতি লাভ করবেন।

error: Content is protected !!