কেউ কেউ জীবনে কঠোর পরিশ্রম করে সফল হন আবার কেউ ভাগ্যের উপর ছেড়ে দেন। ক্রিকেট বিশ্বে তেমনই কিছু খেলোয়াড় ছিলেন যারা নিজেদের দক্ষতার কারণে সফল হলেও কিছু কুসংস্কার মেনে চলতেন। তাদের মতে, এই টোটকাগুলির জন্যই তারা সাফল্য পেয়েছেন। এই প্রতিবেদনে তেমনি ৫ ভারতীয় ক্রিকেটারের সম্পর্কে জানানো হয়েছে, যারা আজও কুসংস্কার মেনে চলেন।
□ শচীন টেন্ডুলকার:
‘মাস্টার ব্লাস্টার’ শচীন টেন্ডুলকার তাঁর ক্রিকেট ক্যারিয়ারে অসংখ্য কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। রেকর্ডের শীর্ষে থাকা এই খেলোয়াড়ও কুসংস্কার মেনে চলতেন। তার মতে, তিনি সফল হয়েছিলেন ঠিক এই কারণেই। ব্যাটিং করার আগে সর্বদা তিনি বাম পায়ের প্যাড আগে পড়তেন। এমনকি ২০১১ বিশ্বকাপের পুরো টুর্ণামেন্টে তিনি কখনও নতুন ব্যাট ব্যবহার করেননি।
□ সৌরভ গাঙ্গুলী:
ভারতীয় দলের আধুনিক ক্রিকেটের রূপকার সৌরভ গাঙ্গুলী একটি ভাঙাচোরা দলকে নেতৃত্ব দিয়ে এতটাই শক্তিশালী করেছিলেন যে প্রতিপক্ষের কাছে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে। বিদেশের মাটিতে তারই নেতৃত্বে টেস্ট জয় করার অভ্যাস গড়ে তোলে ভারতীয় দল। তবে মহারাজও একপ্রকার কুসংস্কার মেনে চলতেন। জানা গেছে ব্যাটিং করার সময় তিনি তার গুরুজীর ছবি পকেটে রেখে দিতেন। এছাড়াও তিনি তার গলার মালাটি কখনো খুলতেন না।
□ বীরেন্দ্র শেহবাগ:
বিশ্বের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান বীরেন্দ্র শেহবাগও কুসংস্কারের জ্বালে জড়িয়েছেন। তিনি তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ৪৪ নম্বর জার্সি ব্যবহার করতেন। এরপর কোন এক জ্যোতিষী তাকে বলেছিলেন ৪+৪=৮ সংখ্যাটি অপয়া। তাই তাকে অন্য জার্সি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন। কিন্তু তার স্ত্রী এবং মা উভয়েই ভিন্ন ভিন্ন সংখ্যার জার্সি ব্যবহার করার কথা বলেন। এমন দোটানায় পড়লে, শেহবাগ ঠিক করেন আর কোনো জার্সি নম্বর ব্যবহার করবেনই না। সেই থেকে কখনও আর জার্সি নম্বর ব্যবহার করেননি।
□ বিরাট কোহলি:
বর্তমানে প্রতিটি তরুণ ক্রিকেটার একজন বিরাট কোহলির মতো ব্যাটসম্যান হওয়ার স্বপ্ন দেখে থাকেন। তবে এই বিশ্বসেরা ব্যাটসম্যানও একপ্রকার কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে ছিলেন। তিনি তার ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে পুরনো গ্লাস গুলো ব্যবহার করে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতেন। তবে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি এগুলি তাকে নিষেধ করেছিলেন। সম্প্রতি একটি ম্যাচে তাকে জার্সির নিচের লাল টি-শার্ট পরতেও দেখা গেছে।
□ রোহিত শর্মা:
টি-টোয়েন্টিতে ভারতীয় দলের নতুন অধিনায়ক হয়েছেন রোহিত শর্মা। তিনি তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের সকলকে মুগ্ধ করেছেন। কিন্তু তিনিও কুসংস্কার মেনে চলেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেকের পর তাকে একটি জার্সি নম্বর বেছে নিতে বলা হয়েছিল। তার লাকি সংখ্যা ছিল ৯, সেই সময় অন্য এক ভারতীয় ক্রিকেটার এই সংখ্যার জার্সিটি ব্যবহার করতেন। তখন তার মা বলেন ৪+৫=৯, সুতরাং ৪৫ নম্বর জার্সি ব্যবহার করতে। সেই থেকে আজও তিনি ৪৫ নম্বর জার্সি ব্যবহার করেন।