প্রত্যেকের স্বপ্ন রোলেক্সের ঘড়ি পড়া; কখনও ভেবে দেখেছেন এটি এত ব্যয়বহুল হয় কেন?

সারা বিশ্বের ব্যয়বহুল ঘড়ি হিসেবে পরিচিত রোলেক্স। আর সকলেই এই ঘড়িটি অন্তত একবার হাতে পড়তে চান। বিশেষ করে সেলিব্রিটিদের হাতে এই ব্র্যান্ডের ঘড়ি দেখতে পাওয়া যায়, যা আইকন হিসেবে পরিচিত। কিন্তু আপনি কখনো ভেবে দেখেছেন এই রোলেক্স ঘড়ি এত ব্যয়বহুল হয় কেন? 

তর্কের খাতিরে আপনি ধরে নিতে পারেন, যেকোনো ঘড়িই তো একই সময় দেখায় তাহলে রোলেক্স ঘড়ির পিছনে মানুষের এত উন্মাদনা কিসের? তাহলে এবার জেনে নেওয়া যাক, রোলেক্স ঘড়ি এত ব্যয়বহুল কেন।

The new Rolex Explorer - An exploration tool

রোলেক্সের নিজস্ব কারখানা আছে যেখানে তারা তিন ধরনের স্বর্ণ উৎপন্ন করে। তাদের ল্যাবরেটরিতে বিশ্বমানের ধাতু বিশেষজ্ঞ রয়েছেন যারা সবসময়েই ঘড়ি প্রস্ততের জন্য আরও ভালো গুণগতমান সম্পন্ন ধাতু তৈরীর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

রোলেক্স এ ব্যাবহৃত সমস্ত পার্টসগুলো অন্যান্য সাধারণ মানের ঘড়ির তুলনায় অনেক উন্নত। যেমন রোলেক্স এ ব্যাবহৃত সমস্ত পার্টসগুলো অন্যান্য সাধারণ মানের ঘড়ির তুলনায় অনেক উন্নত। এর যন্ত্রাংশগুলো অত্যন্ত সূক্ষ্ম, ফলে অত্যন্ত অভিজ্ঞ হাতে এই যন্ত্রাংশগুলোর সংযোজনের কাজ সম্পন্ন হয়ে থাকে। 

Top 5 Most Iconic Rolex Watches (That You Can Actually Buy)

প্রায় এক বছর যাবৎ রোলেক্সের এক একটি ঘড়ি প্রস্তত হওয়ার পরে এগুলোর গুণগত মান নিশ্চিত করা হয়। তাদের নিজস্ব রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট গ্রুপ রয়েছে যেটির মাধ্যমে তারা শুধু নিজেদের ঘড়ির ডিজাইনই নয়, বরং ঘড়িতে ব্যাবহৃত ধাতু নিয়েও গবেষণা করে। রোলেক্স ঘড়ি ডায়ালে সাদা সোনা ব্যবহার করা হয়ে থাকে। ঘড়ির সংখ্যাগুলি বিশেষ করে কাঁচের প্লাটিনাম দিয়ে তৈরি হয়। এছাড়াও বেজেল সিরামিকও রয়েছে। 

এই ঘড়িগুলি তৈরি করা হয় সুইজারল্যান্ড থেকে। প্রতিবছর ৮-১০ লাখ মানুষের জন্য এই কোম্পানি ঘড়ি প্রস্তুত করে। রোলেক্স কোম্পানি সর্বপ্রথম গড়ে উঠেছিল ১৯৫৩ সালে। বর্তমানে ভারতবর্ষে এর দাম ৪৯৯৯ ডলার, অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় ৩ লাখ ৭০ হাজারের কাছাকাছি।