Akshaya Tritiya – Parashuram Jayanti: হিন্দু ধর্মের কাছে অক্ষয় তৃতীয়া দিনটি খুবই শুভ আর অন্যদিকে পরশুরামের জন্মদিন। পুরান অনুসারে, যে আটজন পুরুষ অমরত্ব লাভ করেছেন তাদের মধ্যে একজন তিনি। এই কারণে পরশুরামের কোন পুজো করা হয় না, কারণ অনেকের মতে তিনি এখনো মানুষের মধ্যেই বেঁচে রয়েছেন।
কথিত আছে, অন্যান্য অবতারে চেয়ে তিনি অনেকটাই আলাদা রকমের ছিলেন। ধর্মহীন, পাপিষ্ঠ রাজা, যারা অন্যের সম্পদ লুণ্ঠন করে এবং রাজধর্ম অস্বীকার করে, তাদের বিনাশ করাই ছিল ভগবান পরশুরামের আসল উদ্দেশ্য। এবার জেনে নেওয়া যাক পরশুরামের সম্পর্কে কয়েকটি অজানা তথ্য…
পরশুরাম শব্দের আক্ষরিক অর্থ হলো কুঠার হস্তে রাম। তার পিতা জমদগ্নি এবং মা রেনুকা। তার মা রেনুকা অযোধ্যার সূর্যবংশের সন্তান আর সেই বংশেই রামচন্দ্রও জন্মেছিলেন। কঠোর তপস্যা করে পরশুরাম শিবের কাছ থেকে পরশু লাভ করেন এবং যুদ্ধবিদ্যা শেখেন।
বিষ্ণু পুরাণ অনুসারে, পরশুরাম জির আসল নাম রাম রাখা হয়েছিল। কিন্তু পরশু পরার কারণে তার নাম পরিবর্তন করে পরশুরাম রাখা হয়। ভগবান পরশুরাম অস্ত্রশস্ত্রে অত্যন্ত পারদর্শী ছিলেন। শুধু তাই নয়, তিনি ভীষ্ম, দ্রোষ ও কর্ণকে অস্ত্রশিক্ষা দিয়েছিলেন। কথিত আছে যে, কলিযুগে যখন ভগবান বিষ্ণু কল্কি অবতার হবেন, তখন ভগবান পরশুরাম তাঁকে অস্ত্রের জ্ঞান দেবেন।
পরশুরাম ক্ষত্রিয়দের ২১ বার ধ্বংস করেছিলেন। কর্ণ মিথ্যা বলে পরশুরামের কাছ থেকে শিক্ষা লাভ করেন। পরশুরাম তাকে অভিশাপ দেন যে যুদ্ধের সময়ে জ্ঞান ভুলে যাবেন এবং অস্ত্র চালাতে পারবেন না। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে এই অভিশাপ কর্ণের মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
বিশ্বাস করা হয় যে ত্রেতাযুগে ভগবান শ্রীরাম তাঁকে সুদর্শন চক্র দিয়েছিলেন। যাতে তিনি দ্বাপর যুগে শ্রীকৃষ্ণকে এই সুদর্শন চক্র দিতে পারেন। তারপর দ্বাপর যুগে পরশুরাম জি তাঁর গুরুকুলে শ্রী কৃষ্ণের হাতে চক্র হস্তান্তর করেন। অর্থাৎ ক্রেতা ও দ্বাপর যুগে তিনি বর্তমান ছিলেন।
একবার শিবের সাথে দেখা করতে গেলে গণেশ তাকে বাধা দিলে পরশুরাম ক্ষিপ্ত হয়ে গণেশের একটি দাঁত ভেঙে দেন, এই কারণে গণেশের আরেক নাম একদন্ত। পৌরাণিক কাহিনী অনুসারে, ভগবান বিষ্ণু ত্রেতাযুগে যখন রামাবতার ছিলেন তখন পরশুরামকে পৃথিবীতে বাস করার বর দিয়েছিলেন। এ কারণেই তিনি আজও বেঁচে আছেন বলে বিশ্বাস করা হয়।