ফাঁসির মঞ্চে ক্ষুদিরামের শেষ কথা কি ছিল জানেন, তার কথা শুনে জল্লাদও অবাক হয়ে যায়

Khudiram Bose: আজ ১১ই আগস্ট ১৯০৮ সালের এই দিনেই বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু শহীদ হয়েছিলেন। তবে ফাঁসির মঞ্চে এই ১৮ বছর বয়সী বালকের কথা শুনে অবাক হয় জল্লাদ। তার মৃত্যুবরণ করা দেখে হয়তো ভয় পেয়েছিলেন স্বয়ং যমরাজও। এমনই ছিলেন বাঙালি তরুণ বিপ্লবী ক্ষুদিরাম বসু। 

ক্ষুদিরাম বসুর ফাঁসির আগের মুহূর্তের কথাগুলি সত্যি অবাক করে দেওয়ার মত এবং সেই সময় মনেও হয়নি ওকে কোনো মৃত্যু ভয় করছে। সতীশচন্দ্র চক্রবর্তী ছিলেন ক্ষুদিরামের পক্ষে সওয়ালকারী তিন আইনজীবীর মধ্যে একজন।

অনেক কথোপকথনের পর আইনজীবী ক্ষুদিরামকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তুমি কি জানো রংপুর থেকে আমরা কয়েকজন উকিল তোমাকে বাঁচাতে এসেছি। তুমি তো নিজেই আপন কৃতকর্মের স্বীকার করেছ।’ ক্ষুদিরাম এই কথাটি শুনে উত্তর দিয়েছিলেন কেন স্বীকার করবো না? এমনই ছিল তার শেষ জবাবটিও।

জেলের ভিতরে প্রায় ১৫ ফুট উচুতে ফাঁসির মঞ্চ সাজানো হয়েছে। এরপর চারজন পুলিশ নিয়ে আসেন ক্ষুদিরামকে। জানা যায় ক্ষুদিরাম পুলিশদের আগে হাঁটছিলেন। তিনিই যেন সেপাইদের টেনে আনছেন। এরপর সেখানে উপস্থিত আইনজীবীদের দিকে তাকিয়ে হাসেন। 

Image

ক্ষুদিরামকে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে আসা হলে তার হাত দুটি পিছনের দিকে বেঁধে দেওয়া হয়। জল্লাদ তখন শেষ মুহূর্তের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। গলায় ফাঁসির দড়ি পরানো মাত্রই ক্ষুদিরাম প্রশ্ন করলেন, ‘ফাঁসির দড়িতে মোম দেওয়া হয় কেন?’ এটাই ছিল তার শেষ কথা। চমকে গিয়েছিলেন জল্লাদও।

অন্তিম সময়ে ক্ষুদিরাম মাৎসিনি, গ্যারিবল্ডি রবীন্দ্ররচনাবলী পড়তে চেয়েছিলেন। এই দিনে আইনজীবী কালিদাস বাবুকে বলেছিলেন, ‘রাজপুত নারীরা যেমন নির্ভয়ে আগুনে ঝাঁপ দিয়ে জওহরব্রত উদযাপন করতো, আমিও তেমন নির্ভয়ে প্রান দিব।’ ফাঁসির আগে ক্ষুদিরামের শেষ ইচ্ছাটি ছিল যে তিনি বোমা বানাতে পারেন, অনুমতি পেলে এটা সবাইকে শিখিয়ে যেতে চান।