Health
খেজুরে এমন পুষ্টিগুণ রয়েছে যা কয়েকটি মারাত্মক রোগকে সারিয়ে তোলে
খেজুর কমবেশি সকলেই খেতে ভালোবাসি। তাছাড়া খেজুর একটি খুবই পুষ্টিকর খাদ্য। খেজুরে আছে ভিটামিন, আঁশ, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, আয়োডিন, ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক। আবার প্রাকৃতিক শক্তির উৎসও বলা হয় খেজুরকে। শরীরের পুষ্টি ও আয়রনের অন্যতম উৎস হলো খেজুর।
খেজুর একদিকে যেমন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে ঠিক তেমনই অন্যদিকে স্থূলতার হাত থেকেও রক্ষা করে। তাই অনেক পুষ্টি বিদরা ডায়েট চার্টে খেজুর রাখার কথা বলেন।
১) শরীরের আয়রনের চাহিদা
খেজুরে থাকে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, আয়োডিন ও জিংক যা একজন সুস্থ ব্যক্তির দেহের ১১ ভাগ আয়রনের চাহিদা পূরণ করে। এই কারনে রক্ত স্বল্পতা রয়েছে এমন ব্যক্তিদের জন্য খেজুর খুবই উপকারী।
২) রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
খেজুরের থাকে এন্টি-অক্সিডেন্ট যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ করতে পারে। খেজুরে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, খনিজ থাকে এছাড়া আঁশও যথেষ্ট পরিমাণে থাকে। এই জন্য খেজুর ডায়েটে রাখলে দেহের প্রয়োজনীয় শক্তি সহজেই মিলতে পারে।
৩) হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখা
খেজুরের ভেতরে থাকে নানা রকম খনিজ যা হৃদস্পন্দনের হার ঠিক রাখার জন্য বিশেষভাবে সাহায্য করে। এই কারণে হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য খেজুর খাওয়া খুবই উপকারী।
৪) রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ
খেজুরের থাকে সোডিয়াম যা মানুষের শরীরের রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে। তাই উচ্চরক্তচাপ আছে এমন ব্যক্তির ডায়েটে খেজুর রাখা খুবই উপকারী।
৫) ক্যান্সার প্রতিরোধ করে
খাবারের প্রতি অরুচি দূর করতেও খেজুর সাহায্য করে এবং খেজুরের থাকে অনেক পুষ্টি যা বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধেও সাহায্য করে।
৬) হাড় গঠনে সহায়তা
খেজুরে থাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম। এই ক্যালসিয়াম মানুষের হাড় গঠনে খুবই উপকারী। এছাড়া খেজুর শিশুদের জন্য খুব উপকারী। শিশুদের দাঁতের মাড়ি গঠনে এই খেজুরের বিশেষ ভূমিকা থাকে।
৭) দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়
খেজুরে থাকে লিউটেন ও জিক্সাথিন থাকে যা চোখের রেটিনাকে ভালো রাখতে সাহায্য করে। খেজুরে ভিটামিন-সি ভিটামিন-এ থাকার ফলে চোখের দৃষ্টিশক্তি ভালো হয়।
