News
করোনা হলেও অনেকের মধ্যে উপসর্গ দেখা যায় না কেন?
চীন থেকে সৃষ্টি হওয়া করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ে গোটা বিশ্বে জর্জরিত হয়েছে। আমরা আগেই জেনেছি করোনা সংক্রামিত হলে কোন কোন উপসর্গ গুলি লক্ষ্য করা যায়। আবার অনেক ক্ষেত্রে দেখা গেছে কোন উপসর্গ ছাড়াই অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন অর্থাৎ ‘উপসর্গহীন করোনা’ যেগুলি আরো বেশি ভয়ঙ্কর।
বিশেষজ্ঞদের মতে, উপসর্গহীন করোনার কারণটি লুকিয়ে রয়েছে আমাদের শরীরেই। আসলে শরীরের মধ্যে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা এখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। একটি গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানব শরীরে মেমোরি টি-সেল নামক এই বিশেষ কোষের উপস্থিতি করোনার হাত থেকে কিছু মানুষকে রক্ষা করেছে।
এই সমীক্ষায় তিনটি পৃথক পৃথক দলের ওপর পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। প্রথম দলে ৩৬ জন, যারা সবাই করোনার সংস্পর্শে এসেছেন এবং এদের শরীরে মেমোরি টি-সেল রয়েছে। দ্বিতীয়জনও ২৩ জন, যারা সবাই ২০০৩ সালে সার্স নামক একটি ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছিলেন এবং এদের শরীরের টি-সেল মজবুত রয়েছে। তৃতীয় দলে ছিলেন ৩৭ জন, যারা কখনোই প্যাথোজেন এর সংস্পর্শে আসেন নি।
গবেষকদের একাংশ মনে করছেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণ এভাবে বাড়তে থাকলে একটা সময় বহু মানুষের শরীরে এর অ্যান্টিবডি তৈরি হয়ে যাবে। যার ফলে করোনা সংক্রমণের শৃঙ্খল ভেঙে যাবে এবং এই সংক্রমণ নিজে থেকেই নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। এই পর্যায়কেই বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় ‘হার্ড ইমিউনিটি’।
তবে প্রাকৃতিক উপায়ে আমরা প্রতিরোধ গড়তে এবং এর শৃঙ্খল ভেঙে ফেলতে পারব। তবে সবচেয়ে ভালো হবে টিকা আবিষ্কার হলে। যাতে মানুষ অসুস্থ না হয়, কারও মৃত্যু না হয়। কারণ, প্রাকৃতিক উপায়ে হার্ড ইমিউনিটি অর্জন করতে এখনও অনেক দেরি আছে। এরমধ্যে বহু মানুষ সংক্রমিত হবে ও প্রাণ হারাবে।
