একমুহুর্তও কি মোবাইল ছাড়া চলে না; তাহলে নিশ্চিত আপনি এই রোগের শিকার

স্মার্টফোন ব্যবহার করেন না এমন মানুষ খুব কমই থাকবেন। বর্তমানে আমাদের জীবন স্মার্টফোনের ওপর অনেকটাই নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, যদি একমুহূর্তের জন্যও স্মার্ট ফোন ছেড়ে থাকার পর কারো শরীর খারাপ হতে বা দুশ্চিন্তা হতে শুরু করে তাহলে সেই ব্যক্তি ছোট-বড় নানান রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। যদি মোবাইল থেকে কিছুক্ষণের জন্য দূরে থাকলে অস্বস্তি হতে শুরু হয় তাহলে চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে ‘নোমোফোবিয়া’ বলে। 

☞ নোমোফোবিয়া কি:-
মোবাইল থেকে দূরে থাকার কারণে যদি কোন ব্যক্তির উদ্বেগ, ভয় ইত্যাদিগুলি অনুভূত হয় সেটাই চিকিৎসাবিজ্ঞানে নোমোফোবিয়ার লক্ষণ হিসেবে ধরা হয়। এর ফলে স্বাভাবিক দৈনন্দিন জীবনও প্রভাবিত হতে পারে। খাওয়া-দাওয়া থেকে শুরু করে ঘুম — সবই অসুবিধা হতে পারে। আরও সহজ ভাষায় বললে, এই মানসিক সমস্যাকে মোবাইল আসক্তিও বলা যেতে পারে।

☞ নোমোফোবিয়ার লক্ষণ গুলি কি কি:-
যদি কোন ব্যক্তি সর্বদা তার মোবাইলটিকে সাথে নিয়ে থাকেন, এমনকি টয়লেট বা স্নান করার সময়ও মোবাইলটিকে হাতছাড়া করতে চান না। এছাড়া কিছুক্ষণ পর পর মোবাইল চেক করেন, কোনও নোটিফিকেশন আসছে কিনা। এমনকি পরিবার বা সঙ্গীর সাথে থাকলেও ফোন ব্যবহার করা বা চার্জ করার সময়ও মোবাইল ব্যবহার করা ইত্যাদি।

☞ নোমোফোবিয়া দ্বারা সৃষ্ট অন্যান্য রোগ:
একটানা দীর্ঘক্ষণ মোবাইল ব্যবহার করলে মেরুদন্ডের রোগ হতে পারে কিংবা বেঁকে যেতে পারে। এছাড়া কম্পিউটার ভিশন সিনড্রোম জাতীয় রোগ, ঘাড়ে ব্যথা, ফুসফুসের কার্যকরী ক্ষমতা কমে যাওয়া, অনিদ্রা, বিষন্নতা ইত্যাদি। একটি জার্মান সংস্থার মতে, অতিরিক্ত রেডিয়েশনের মোবাইল ব্যবহার করলে মস্তিষ্কের মারাত্মক ক্ষতি হয়।