অবাক তথ্য: মৃত্যুর পর আঙুলের ছাপ দিয়ে মোবাইল ‘আনলক’ করা যায় কী

Fingerprint Fact: প্রতিটি মানুষের ডিএনএ যেমন আলাদা, তেমনি প্রত্যেকের আঙুলের ছাপও আলাদা হয়ে থাকে। এই ফিঙ্গারপ্রিন্ট (fingerprint) কারও শনাক্তকরণের জন্য খুবই সহায়ক। আধার কার্ড হোক বা পাসপোর্টসহ নানান গুরুত্বপূর্ণ নথির জন্য আঙ্গুলের ছাপ ব্যবহার করা হয়। ফিঙ্গারপ্রিন্ট আমাদের নিজস্ব পরিচয় ও নিরাপত্তার দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়।

কিন্তু কখনো ভেবেছেন কারও মৃত্যুর পর তার আঙুলের ছাপ দিয়ে ফোন আনলক করা যাবে কী? প্রথমেই জানিয়ে রাখি মানুষের মৃত্যুর পর তার আঙ্গুলের ছাপ বদলে যায়। আসলে মৃত্যুর পর শরীরে উপস্থিত সমস্ত বৈদ্যুতিক পরিবাহীও (electrical conductor) শেষ হয়ে যায় এবং আমাদের কোষগুলো কাজ করা বন্ধ করে দেয়। মানুষের মৃত্যুর পর তার আঙ্গুলের ছাপ আগের মত নির্ভরযোগ্য থাকে না।

Image

মৃত্যুর পর শরীরের বিভিন্ন অংশগুলি অকেজো হতে শুরু করে। ফলে অন্যান্য অঙ্গের মতো আমাদের আঙ্গুলও অকেজো হয়ে যায়। তাই মৃত্যুর পর ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া খুবই কঠিন হয়ে পড়ে। এই সময় মানুষের আঙ্গুলের ছাপ বদলে যায়। এটি শুধুমাত্র একটি ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বা একটি ল্যাবে শনাক্ত করা যেতে পারে।

জীবিত ও মৃত ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ শনাক্ত করতে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের খুব একটা অসুবিধা হয় না। তারা সহজেই মৃত ব্যক্তিদের আঙুলের ছাপ শনাক্ত করতে পারে। ফরেনসিক ল্যাবে, মৃত ব্যক্তির আঙ্গুলের ছাপ নেওয়ার জন্য সিলিকন পুটি ব্যবহার করা হয়। এতে আঙুলের ছাপ স্পষ্ট আসে, যা ছবি তোলার মাধ্যমে শনাক্ত করা যায়।

Image

মৃত্যুর পর আঙ্গুলের ছাপ দিয়েও তার মোবাইল আনলক করা যায় না। আসলে মোবাইল ফোনের সেন্সর মানুষের আঙুলে চলমান বৈদ্যুতিক পরিবাহিতার ভিত্তিতে কাজ করে। যেহেতু মানুষের শরীরে উপস্থিত বৈদ্যুতিক পরিবাহিতা শেষ হয়ে যায়, তাই মোবাইল ফোনের সেন্সর বৈদ্যুতিক পরিবাহী ছাড়া আঙ্গুল শনাক্ত করতে সক্ষম হয় না।