ক্রিকেটে ১১ প্রকারের আউট রয়েছে, যা ৮০% মানুষের অজানা

ক্রিকেট খেলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ‘আউট’ হওয়া। মাঠে খেলোয়াড়রা ব্যাটসম্যানদের যে কোনও প্রকারের আউট করে প্যাভিলিয়নে ফেরানোর চেষ্টা করেন। বোল্ড অথবা ফিল্ডার দ্বারা কোন ক্যাচ ছাড়া বাকি আউটগুলির ক্ষেত্রে আম্পায়ারকে অবশ্যই আবেদন জানানো বাধ্যতামূলক। তবে আউটের কত প্রকার ধরন রয়েছে ও কি কি নিয়ে তা আজও নানা মত রয়েছে। তবে বর্তমানে একজন ব্যাটসম্যান ১১ প্রকারের আউট হতে পারেন। 

১) বোল্ড: কোন বোলারের বল ডেলিভারি করার পর সরাসরি যদি উইকেট ভেঙে দেয় অথবা বেল উড়ে যায় তাহলে ব্যাটসম্যান বোল্ড আউট হন। 

২) কট: ব্যাটসম্যানের ব্যাট থেকে কিংবা গ্লাভস ছুঁয়ে বল মাটিতে স্পর্শ করার আগেই ফিল্ডিং দলের কেউ যদি বলটি ধরে নেয় তাহলে ব্যাটসম্যান কট আউট হন। কট আউট মূলত তিন প্রকার হয়ে থাকে — ১) কট বাই দ্যা ফিল্ডার, ২) কট অ্যান্ড বোল্ড ও ৩) কট বিহাইন্ড।

৩) এলবিডব্লিউ: বোলারের বল ডেলিভারি করার পর ব্যাটে স্পর্শ না করে ব্যাটসম্যানের যেকোনো জায়গায় লাগলে আম্পায়ারের বিবেচনায় যদি মনে হয় স্টাম্প লাইনে রয়েছে তাহলে আউট ঘোষণা করতে পারেন। 

৪) স্ট্যাম্প: ব্যাটসম্যান হিট করার আগেই যদি ক্রিজ থেকে বাইরে বেরিয়ে চলে আসে অথবা শরীরের কোন অংশ যদি ক্রিজ স্পর্শ না করে থাকে তাহলে উইকেট রক্ষক বলটিকে তালুবন্দি করে বেল উড়িয়ে দিতে পারেন।

৫) রান আউট: যখন ব্যাটসম্যান রান নেওয়ার সময় এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে দৌড়ান এবং তার ক্রিজে পৌঁছানোর আগেই যদি কোনো ফিল্ডার দ্বারা সরাসরি অথবা তালুবন্দি করে উইকেটর বেল উড়িয়ে দেন তাহলে তিনি রান আউট হন।

৬) হিট উইকেট: রান নেওয়ার সময় কিংবা ক্রিজে থাকার সময় ব্যাটম্যানের ব্যাট অথবা শরীরের কোন অংশ যদি স্ট্যাম্পের লেগে বেল উড়ে যায় তাহলে আউট হন।

৭) অ্যাবস্ট্রাক্টিং দ্যা ফিল্ড: ফিল্ডার দ্বারা কোন বল উইকেটরক্ষকের দিকে ছোড়ার সময় ব্যাটসম্যান যদি ইচ্ছাকৃতভাবে বলটিকে বাধা দেন তাহলে আউট হন।

৮) হিট দ্যা বল টোয়াইস: বোলারের কোন ডেলিভারি বল যদি ব্যাটসম্যান দুই বার আঘাত করেন তাহলে আউট হন। প্রথমবার হিট করার পর দ্বিতীয়বার যদি ব্যাট, পা অথবা অন্যকোন ভাবে বলটিকে আঘাত করলে আম্পায়ার আউট দেন।

৯) হ্যান্ডেল্ড দ্যা বল: ব্যাটে স্পর্শ ছাড়া, প্রতিপক্ষ দলের ফিল্ডিংয়ের সম্মতি ছাড়া যদি ব্যাটসম্যান ইচ্ছাকৃতভাবে বলটিকে স্পর্শ করেন তাহলে আউট হন।

১০) টাইমড আউট: একজন ব্যাটসম্যান আউট হওয়ার পর যদি নতুন ব্যাটসম্যান নির্ধারিত সময়ের মধ্যে যদি বাউন্ডারি লাইন এর মধ্যে প্রবেশ করতে না পারে তাহলে টাইমড আউট হন। এই ক্ষেত্রে টেস্টে ১৮০ সেকেন্ড, ওয়ানডেতে ১২০ সেকেন্ড এবং টি-টোয়েন্টিতে ৯০ সেকেন্ড সময়ের মধ্যে ব্যাটসম্যান কে বাউন্ডারি লাইনের ভিতরে প্রবেশ করতে হয়।

১১) রিটায়ার্ড হর্ট: কোন ব্যাটসম্যান যদি আঘাত পেয়ে আম্পায়ারের সম্মতি ছাড়াই মাঠ ছাড়েন এবং তিনি ওই ইনিংস পুনরায় শুরু করতে চাইলে প্রতিপক্ষ অধিনায়কের সম্মতি না থাকলে ওই ব্যাটসম্যানকে আউট বলে গণ্য করা হয়।