অজন্তা-ইলোরা গুহার দূরত্ব ১০০ কিমি, তবে সর্বদা একসাথে নাম নেওয়া হয় কেন

১৮১৯ সালে ব্রিটিশ সেনা জন স্মিথ এবং তার দলবল শিকারে গিয়ে কিছু গুহা দেখতে পান। তাদের মাধ্যমে গুহাগুলি বিশ্বের সামনে এসেছিল। বড় বড় পাথর কেটে এইসব গুহাগুলি তৈরি করা হয়। অজন্তা গুহাগুলিতে বেশিরভাগ বৌদ্ধধর্ম সম্পর্কিত খোদায় রয়েছে আর অন্যদিকে ইলোরা গুহাগুলিতে বৌদ্ধ, জৈন এবং হিন্দু সম্পর্কিত স্থাপত্য ও ভাস্কর্য রয়েছে।

Image

ঘোড়ার নালের আকারে পাথর কেটে এই গুহাগুলি তৈরি করা হয়েছিল। গুহাটির সামনে দিয়ে বয়ে গেছে ওয়াঘেরা নদী এবং এর কাছাকাছি অজন্তা নামে একটি গ্রাম রয়েছে। যার নাম অনুসারে এই গুহাগুলির নামকরণ করা হয়। অজন্তা গুহার দেওয়ালে বিভিন্ন ভঙ্গিতে অপ্সরা ও রাজকন্যাদের ছবি খোদাই করা আছে। ১৯ শতকের এই গুহাগুলিতে বৌদ্ধ ভিক্ষুকদের ভাস্কর্য ও চিত্রকর্ম রয়েছে।

এদিকে ইলোরা গুহা দশম শতাব্দীর মধ্যে নির্মিত হয়েছিল এবং এটি ছিল ব্যাসল্ট পাথরের তৈরি, যার মধ্যে মোট ৩৪টি গুহা রয়েছে এবং দু কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত। এই গুহাগুলিতে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং জৈন ধর্ম সম্পর্কিত চিত্রকর্ম ও ভাস্কর্য রয়েছে। এখানে বেশিরভাগ মঠ রয়েছে। বৌদ্ধ গুহা অর্থাৎ বিশ্বকর্মা গুহা নামেও পরিচিত।

Image

মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলায় অযোধ্যা ও ইলোরা গুহাগুলিকে একসাথে অজন্তা-ইলোরা গুহা নামে ডাকা হয়। আসলে বড় বড় পাহাড় ও পাথর কেটে এগুলি তৈরি করা হয়েছে। উভয়ের কারুকার্য স্থাপত্যের একটি চমৎকার উদাহরণ। যদিও এই গুহাগুলি একে অপরের থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরত্বে রয়েছে তবে তাদের সৌন্দর্য, গঠন এবং ঐতিহ্য প্রায় একই, যে কারণে এই গুহা দুটির নাম সর্বদা একসাথে নেওয়া হয়।