কতদিন চলার পর একটি ট্রেনের মেয়াদকাল শেষ হয়? এরপরই বা কি করা হয় জানলে অবাক হবেন!

একটি ট্রেনকে কতদিন চলাচলের পর অবসর দেওয়া হয়

Indian Railways: রেলকে দেশের ‘লাইফ লাইন’ বলা হয়। এর মাধ্যমে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ মানুষ গন্তব্যে পৌঁছান। রেলে যাত্রা করা যেমন আরামদায়ক, তেমনি খরচের দিক দিয়ে অনেক সাশ্রয়। তবে সম্প্রতি ওড়িশায় রেল দুর্ঘটনা দেশের জন্য অত্যন্ত দুঃখের বিষয়। যাইহোক রেল সম্পর্কিত এমন অনেক তথ্য রয়েছে, যেগুলো অনেকের কাছেই অজানা। এবার এই প্রতিবেদনে তেমনি একটি বিষয় সম্পর্কে জানানো হলো।

ভারতীয় রেলে যাত্রীদের পরিষেবা প্রদানকারী ICF কোচগুলির কর্মজীবনের মেয়াদ ২৫ থেকে ৩০ বছর হয়। এর অর্থ হল একটি যাত্রীবাহী কোচ সর্বোচ্চ ২৫ থেকে ৩০ বছরের জন্য পরিষেবা দিতে পারে। তবে, এইক্ষেত্রে প্রতি ৫ বা ১০ বছরে একবার যাত্রীবাহী কোচ মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হয়।

এরপর কোচগুলির কর্মজীবনের মেয়াদ পূর্ণ হলে সেগুলিকে অটো ক্যারিয়ারে রূপান্তরিত করা হয়। একটি যাত্রীবাহী কোচকে NMG কোচে রূপান্তর করার পরে, এটি আরও ৫ থেকে ১০ বছর ব্যবহার করা হয়। এই ট্রেনগুলির মাধ্যমে এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে পণ্য পরিবহণ করা হয়।

উল্লেখ্য যে, যাত্রীবাহী কোচকে NMG কোচে রূপান্তর করার জন্যে, কোচটি সম্পূর্ণ সিল করা হয়। পাশাপাশি, ভেতরের সব সিট খুলে ফেলা হয়। এমনকি, ফ্যান এবং আলোগুলিকেও খুলে ফেলা হয়। এছাড়াও, কোচগুলিকে শক্তিশালী করতে লোহার স্ট্রিপ লাগানো থাকে।

Image

NMG কোচগুলিকে এমনভাবে প্রস্তুত করা হয় যাতে সেগুলিতে গাড়ি, মিনি ট্রাক, ট্রাক্টর ও বাইক সহজেই লোড এবং আনলোড করা যায়। এমতাবস্থায়, প্রশ্ন উঠতে পারে যে, কোচগুলিকে সম্পূর্ণ সিল করে দিলে কিভাবে জিনিসপত্র রাখা হয়? আসলে সম্পূর্ণরূপে সিল করা মানে জানালা এবং দরজা লক করে দেওয়া। অর্থাৎ, লাগেজ রাখার জন্য কোচের পেছনে একটি দরজা তৈরি করা হয়।