বিশ্বের পাঁচ জনপ্রিয় খেলোয়াড় যারা ২টি দেশের হয়ে খেলেছেন; তালিকায় এক ভারতীয়

প্রতিটি তরুণ ক্রিকেটার তার দেশের হয়ে খেলার স্বপ্ন দেখেন। কখনো কখনো সেই স্বপ্ন পূরণ হলেও বিশেষ কোনও কারণের জন্য তারা অন্য দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করে ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। দুটি দেশের হয়ে খেলেছেন এমন অনেক খেলোয়াড়ের উদাহরণ রয়েছে। তাদের মধ্যে পাঁচ জনপ্রিয় ক্রিকেটারকে বেছে নেওয়া হল। এবার দেখে নেওয়া যাক:

১) ইয়ন মরগ্যান:

ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপের শিরোপা জেতানো একমাত্র অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান সেই সকল খেলোয়াড়দের মধ্যে একজন, যারা দুটি দেশের হয়ে খেলেছেন। ২০০৭ সালে আয়ারল্যান্ডের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন এই আইরিশ তারকা। এরপর ২০১১ সালে ইংল্যান্ড দলের হয়ে খেলা শুরু করেন। ২০১৯ সালে তার নেতৃত্বে ইংল্যান্ড দল চ্যাম্পিয়ন হয়।

২) ইফতেখার পতৌদি:

নবাব ইফতেখার পতৌদি ছিলেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মনসুর আলী খান পতৌদির বাবা। তিনি তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে খেলেছিলেন। এরপর ১৯৪৬ সালে ইংল্যান্ড দল ত্যাগ করে ভারতের হয়ে খেলা শুরু করেন এবং সেই বছরই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাকে অধিনায়কের দায়িত্ব দিয়েছিল।

৩) কেপলার ওয়েলস:

দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক কেপলার ওয়েলস ক্রিকেট ক্যারিয়ারে যথেষ্ট ভালো পারফর্ম করেছেন। অস্ট্রেলিয়ায় জন্মগ্রহণকারী কেপলার ১৯৮২ সালে তার হয়ে দেশের খেলেন। এরপর ১৯৯১ সালে বর্ণবাদ তোলার অভিযোগে দক্ষিণ আফ্রিকার নাগরিত্ব গ্রহণ করেন এবং প্রোটিয়াদের হয়ে খেলা শুরু করেন।

৪) কোরি অ্যান্ডারসন:

শাহিদ আফ্রিদির দ্রুততম ৩৭ বলে সেঞ্চুরি রেকর্ড ভেঙেছিলেন নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার কোরি অ্যান্ডারসন, যার সেঞ্চুরি এসেছিল মাত্র ৩৬ বলে। বছর দুয়েক আগে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র পাড়ি দিয়েছেন ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি খেলার জন্য এবং সে দেশের হয়ে খেলছেন। উল্লেখ্য ২০১৫ বিশ্বকাপে রানার্স দলের সদস্য ছিলেন।

৫) লুক রোঁচি:

লুক রোঁচি একজন ভালো উইকেটরক্ষক হওয়ার পাশাপাশি আক্রমনাত্মক ব্যাটসম্যান হওয়ার জন্য পরিচিত। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন। এর বছর কয়েক পর নিউজিল্যান্ডের খেলা শুরু করেন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৭ নম্বরে ব্যাটিং করতে নেমে ১৭০ রানের একটি বিধ্বংসী ইনিংস খেলেছিলেন। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন তিনি।