৫ জন ক্রিকেটার যাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও বিভিন্ন খেলার সাথে যুক্ত রয়েছেন

দেশের হয়ে প্রতিটি খেলোয়াড় মানুষের কাছ থেকে সম্মান ও ভালোবাসা দুটোই পেয়ে থাকেন। তবে এমন কিছু ক্রিকেটার রয়েছেন যাদের পরিবারের অন্য সদস্যরাও অন্য খেলাকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। এই প্রতিবেদনে তেমনই পাঁচ জন ক্রিকেটারের সম্পর্কে বলা হয়েছে। এবার বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:

□ শোয়েব মালিকের স্ত্রী সানিয়া মির্জা:

পাকিস্তানি দলের অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ভারতীয় টেনিস সুন্দরী সানিয়া মির্জার প্রেমে পড়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তিনি টানা দশ বছর টেনিস অঙ্গনে এক নম্বর খেলোয়াড় হিসেবে ছিলেন। সানিয়া মির্জার টেনিস ক্যারিয়ারে মোট ছটি গ্র্যান্ড স্ল্যামের খেতাব জিতেছেন। এছাড়াও তিনি পুরস্কার হিসেবে অর্জুন পুরস্কার পদ্মশ্রী পুরস্কার ও খেলরত্ন পুরস্কার পেয়েছেন।

□ শন মার্শ ও মিচেল মার্শ এর বোন মেলিসা:

অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেট তারকা জিএফ মার্শের দুই পুত্র হলেন শন মার্শ ও মিচেল মার্শ। এই দুই খেলোয়াড়ই অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের জন্য বিখ্যাত। তবে এই দুই অস্ট্রেলিয়ান খেলোয়াড়ের একটি বোন রয়েছে যার নাম মেলিসা মার্শ। সে একজন বিখ্যাত বাস্কেটবল খেলোয়াড় এবং তিনি রাজ্যস্তরে বাস্কেটবল খেলেছেন।

□ মিচেল স্টার্ক এর ভাই ব্রেন্ডন স্টার্ক:

Image

অস্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ফাস্ট বোলার মিচেল স্টার্ক, যিনি দুর্দান্ত ইয়র্কার বোলিং এর জন্য বিখ্যাত। ২০১৫ বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছিলেন। এর পাশাপাশি তাঁর ভাই ব্রেন্ডন স্টার্ক পেশায় একজন অ্যাথলেটিক (হাই জাম্প খেলোয়াড়)। তিনি ২০১৮ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিলেন। উল্লেখ্য মিচেল স্টার্ক এর স্ত্রী অ্যালিসা হিলিও অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক মহিলা দলের ক্রিকেটার।

□ দীনেশ কার্তিকের স্ত্রী দিপিকা পল্লিকাল:

ভারতীয় দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান দীনেশ কার্তিক তার আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ের কারণে পরিচিত এবং তিনি অনেক ম্যাচে ফিনিশারের ভূমিকা পালন করেছেন। দীনেশ কার্তিকের স্ত্রী দিপিকা পল্লিকাল, যিনি একজন ভারতীয় দলের। স্কোয়াশ খেলোয়াড়। ২০১৪ সালে কমনওয়েলথ গেমসে সোনা জিতেছিলেন। দিপিকা পল্লিকাল হলেন প্রথম মহিলা স্কোয়াশ খেলোয়াড় যিনি অর্জুন পুরস্কার পেয়েছেন।

□ রডনী মার্শের ভাই গ্রাহাম মার্শ:

Image

অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট দলের সফল উইকেটরক্ষক ও ব্যাটসম্যান হিসেবে পরিচিত রডনী মার্শ। তিনি নিজে একজন ক্রিকেটার হলেও তার ভাই গ্রাহাম মার্শ ছিলেন একজন বিখ্যাত গলফার। তিনি তার ক্যারিয়ারে ৭০টির বেশি প্রতিযোগিতা জিতেছেন।