বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলাগুলির মধ্যে একটি ক্রিকেট, যেখানে রোমাঞ্চ ও আবেগ ক্রিকেটপ্রেমীদের আরও আকর্ষণীয় করে তোলে। ক্রিকেট মাঠে চোট আঘাত পাওয়া সাধারন ব্যাপার, কিন্তু কখনো কখনো সেগুলি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু কিছু ক্রিকেটার এই অবস্থা থেকে আর জীবিত হয়ে ফিরে আসেনি।
☞ ৫ এমন ক্রিকেটার যারা মাঠের মধ্যেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন:-
১) ফিলিপ হিউজ:
ফিলিপ হিউজ সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে ঘরোয়া সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৩ রানে ব্যাট করছিলেন। তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসের বোলার শন অ্যাবটের একটি বল হুক করতে এগিয়ে যান, কিন্তু শটটি মিস করেন এবং বলটি তাকে সরাসরি তার মাথার পিছনে আঘাত করেছিল।
বাউন্সারের আঘাতে হিউজ মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হলে দুদিন পর তার মৃত্যুর খবর গোটা ক্রিকেট বিশ্বকে হতবাক করেছিল। এই সময় তার বয়স ছিল ২৫ বছর।
২ ড্যারিন রান্ডাল:
২০১৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার ঘরোয়া টুর্নামেন্ট চলাকালীন একটি বল ড্যারিন রান্ডালের মাথায় এসে সরাসরি লাগে এবং তিনি মারা যান। ৩২ বয়সী এই তরুণ ক্রিকেটারের চলে যাওয়া ক্রিকেট বিশ্বের জন্য একটি ধাক্কা ছিল।
৩) জুলফিকার ভাট্টি:
পাকিস্থানের ঘরোয়া ক্রিকেটার জুলফিকার ভাট্টির বুকে একটি বল আঘাত করলে সাথে সাথেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, কিন্তু সেদিনই এই ২২ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।
৪) রমন লাম্বা:
১৯৯৮ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে একটি ক্লাব ম্যাচ চলাকালীন ফিল্ডিং করার সময় ভারতীয় খেলোয়াড় রমন লাম্বার মাথায় একটি বল লাগে। তিনি বিনা হেলমেটে শর্ট লেগে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এরফলে তিনি মাথায় গুরুতর চোট পান এবং তিন দিন কোমায় ছিলেন। এরপর এই ৩৮ বছর বয়সী ক্রিকেটারকে মৃত ঘোষণা করা হয়। তার অকাল প্রয়াণ গোটা দেশকে শোকস্তব্ধ করেছিল।
৫) ইয়ান ফোলি:
১৯৯৩ সালে ইংল্যান্ডের ঘরোয়া টুর্নামেন্টে ডারবিশায়ারের হয়ে ওয়ার্কিংটনের বিপক্ষে খেলা চলাকালীন ইয়ান ফোলির চোখের নিচে একটি বল আঘাত করে, এরপর চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু হার্ট অ্যাটাকে মারা যায় এই ৩০ বছর বয়সী ক্রিকেটার।