প্রতিটি দেশের খেলোয়াড় তাদের ভক্তদের কাছ থেকে প্রচুর ভালোবাসা পান এবং তারা আশা করে যে তাদের প্রিয় খেলোয়াড় যতদিন সম্ভব ক্রিকেট খেলতে থাকবে। তবে এটা সম্ভব নয়, প্রত্যেক খেলোয়াড়কেই এক সময়ের পর অবসর নিতে হয়। তবে এখনো পর্যন্ত অনেক কিংবদন্তি খেলোয়াড় রয়েছেন যারা বহু দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে আসছেন। এই প্রতিবেদনে এমন ৪ জন খেলোয়াড়ের কথা বলা হয়েছে যারা চার দশক ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন।
৪) ক্রিস গেইল:
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল ১৯৯৯ সালে ভারতের বিপক্ষে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। তিন ফরম্যাট মিলিয়ে তিনি মোট ৪৮৩ ম্যাচ খেলেছেন এবং ১৯ হাজারেরও বেশি রান করেছেন। এছাড়াও ২৬০টি উইকেট নিয়েছেন। চারটি ভিন্ন ভিন্ন দশকে ক্যারিবিয়ান দলের হয়ে খেলা এই বাঁহাতি ওপেনার ক্রিস গেইল এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানান নি।
৩) শোয়েব মালিক:
পাকিস্তানের দুর্দান্ত অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ১৯৯৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে মাত্র ১৭ বছর বয়সে তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক করেছিলেন। ৪০ বছর বয়সী শোয়েব মালিক ২০ বছরের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলেছেন। তিনি টেস্ট ও ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে অবসর নিলেও পাকিস্তানের হয়ে আরেকটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে চান। তার ক্যারিয়ারের সম্পর্কে বলতে গেলে এই ডানহাতি অলরাউন্ডার ৩৫টি টেস্ট, ২৮৭টি ওয়ানডে এবং ১২৪টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
২) সনাথ জয়সুরিয়া:
শ্রীলঙ্কার বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান সনাথ জয়সুরিয়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৯৮৯ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা রেখেছিলেন। যেখানে তিনি তার ক্যারিয়ারের শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ২০১১ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। তিনি টানা চার দশক ধরে শ্রীলঙ্কা দলের অবিচ্ছেদ্য অংশ ছিলেন। জয়সুরিয়া তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ১১০টি টেস্ট, ৪৪৫টি ওয়ানডে এবং ৩১টি টি টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।
১) শচীন টেন্ডুলকার:
‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ শচীন টেন্ডুলকার ১৯৮৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে তার ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছিলেন। এরপর টানা ২৪ বছর ভারতের হয়ে অনেক স্মরণীয় ইনিংস উপহার দিয়েছেন। তিনি তার শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচটি খেলেছিলেন ২০১৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। চার দশক ধরে ভারতের হয়ে খেলা শচীন টেন্ডুলকার তার ক্যারিয়ারে ২০০টি টেস্ট ৪৬৩টি ওয়ানডে এবং মাত্র একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন।