৪ ক্রিকেটার যাদের ক্যারিয়ার শেষ হয়েছিল চোটের কারণে; তালিকায় একজন ভারতীয়

খেলোয়াড়দের মাঠের মধ্যে চোট পাওয়া একটা সাধারন বিষয়। তবে কখনো কখনো মাঠের মধ্যে এমন কিছু অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে যা সবাইকে হতবাক করেছে। অনেকেই মারা গেছেন আবার কেউ কেউ জীবনে সেরা ফর্মে থাকা সত্ত্বেও চোটের কারণে ক্রিকেট থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। যার ফলে তাদের ক্যারিয়ার অকালেই শেষ হয়ে যায়।

১) মার্ক বাউচার:

দক্ষিণ আফ্রিকার কিংবদন্তি উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান মার্ক বাউচার উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে সর্বাধিক ৯৯৯টি ডিসমিশাল করেছেন। ২০১২ সালে সামারসেটের বিপক্ষে উইকেট কিপিংয়ের সময় বাউচারের চোখে উইকেটের বেলটি আঘাত করে। সাথে সাথে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তার চোটটি এতটাই গুরুতর ছিল যে তিনি আর কখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে পারেনি।

২) সাবা করিম:

এই তালিকায় রয়েছেন ভারতীয় উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান সাবা করিমও। ২০০০ সালে এশিয়া কাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে উইকেট কিপিংয়ের সময় করিমের চোখে উইকেটের বেলটি লাগে। এই চোটের কারণে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায় কারণ তার বল দেখতে সমস্যা হচ্ছিল। পাটনার এই খেলোয়াড় ভারতের হয়ে একটি টেস্ট এবং ৩৪টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন।

৩) ডেভিড লরেন্স:

ইংল্যান্ডের হয়ে ডেভিড লরেন্স পাঁচটি টেস্ট ও একটি ওয়ানডে ম্যাচ খেলেছেন। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন লরেন্সের সাথে একটি বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে এবং যার ফলে তার ক্যারিয়ার শেষ হয়ে যায়। ১৯৯২ সালে ওয়েলিংটনের নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে একটি টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন বোলিং করতে গিয়ে রান আপের সময় হাঁটুর ক্যাপটি খারাপ ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। দীর্ঘ ছয় বছর পর কাউন্টি ক্রিকেটে ফেরার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হন। 

৪) ক্রেগ কিসওয়েটার:

নর্থ হ্যাম্পটনশায়ারের বিপক্ষে কাউন্টটি ম্যাচের ডেভিড উইলির একটি শর্ট ডেলিভারি খেলতে গিয়ে চোট পান এই ইংল্যান্ডের উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ক্রেগ কিসওয়েটার। হেলমেটের ভেতরে গিয়ে বলটি তার চোখে লাগে। এর জন্য তাকে অস্ত্রোপচার করতে হয়েছিল যে কারণে তার ক্যারিয়ারও শেষ হয়ে যায়। কিসওয়েটার মাত্র ২৭ বছর বয়সে অবসর নেন। উল্লেখ্য ২০১০ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৪৯ বলে ৬৩ রানের একটি দুর্দান্ত ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েছিলেন।