আর সপ্তাহখানেক পরেই গোটা দেশ জুড়ে পালিত হবে স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ আয়োজন করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। তবে জানেন কি ১৫ই আগস্ট সারাদেশ জুড়ে স্বাধীনতা দিবস পালন করা হলেও পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকটি জায়গা রয়েছে যেখানে স্বাধীনতা দিবস পালিত হয় ১৮ই আগস্ট।
প্রায় দুশো বছর শাসন ও শোষণ করার পর বিপ্লবীদের আত্মত্যাগ ও প্রবল বিদ্রোহের কারণে একসময় ব্রিটিশ সরকার ভারতকে স্বাধীনতা দিতে বাধ্য হয়েছিল। তারা ভারত ছেড়ে যেতে যেতে ভারত থেকে পাকিস্তানকে আলাদা করে দেয়।
তবে ১৯৪৭ সালে অল ইন্ডিয়া রেডিওর একটি খবর হঠাৎ করে সবকিছু বদলে দেয়। সেখানে জানানো হয়েছিল নদীয়া জেলার বেশ কয়েকটি এলাকা স্বাধীন ভারতের অন্তর্ভুক্ত হবে না। এই খবরটি প্রচারিত হতেই সমগ্র নদীয়া জেলা জুড়ে রীতিমতো প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
এমনটা ঘোষণার পর ১৯৪৭ সালের ১৪ই আগস্ট (পাকিস্তানের স্বাধীনতা দিবস) মুসলিম লীগ কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করে। এই ঘটনায় মিছিল মিটিং ও ধর্মঘটের মাধ্যমে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। এরপর ব্রিটিশ সরকার বুঝতে পারে তাদের ভুল হয়েছে।
সেই সময় সরকার ভুল সংশোধনের জন্য ১৭ই আগস্ট একটি সংশোধনী আইন আনে এবং সেখানে জানানো হয়েছিল কৃষ্ণনগর, শিবনিবাস ও রানাঘাট ভারতবর্ষে অন্তর্ভুক্ত হবে এবং চুয়াডাঙ্গা কুষ্টিয়া ও মেহেরপুর পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) অংশে থাকবে।
এরপর ১৮ই আগস্ট কৃষ্ণনগর পাবলিক লাইব্রেরির মাঠে পাকিস্তানের পতাকা হটিয়ে ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলিত হয়। সেই থেকে কৃষ্ণনগরের এই তিনটি এলাকায় ১৮ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবস পালন করা হয়।