এই রেলপথটি নির্মাণ করতে ১.২০ লাখ মানুষের প্রাণ গিয়েছিল, এর কাহিনী খুবই বেদনাদায়ক

Death Railway: ইতিহাসে এমন অনেক বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে, যা জানলে আত্মা কেঁপে ওঠে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় মানুষকে এমনভাবে হত্যা করা হয়েছিল, যা কখনোই ভোলা যায়না। এমনই এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে রেললাইন নির্মাণের সময়। এই রেললাইন নির্মাণের কারণে ১ লাখ ২০ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছিল। এই রেল পথটি ‘ডেথ রেলওয়ে’ নামে পরিচিত।

এই বার্মা রেল লাইনটির দৈর্ঘ্য ৪১৫ কিলোমিটার, যা থাইল্যান্ড এবং বার্মার রেঙ্গুনকে যুক্ত করেছে। থাইল্যান্ড এবং বার্মাকে সংযুক্ত করার জন্য জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় ১৯৪২ সালে এই রেল লাইনটি নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয়। এই প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে ডেথ রেলওয়ের রক্তাক্ত কাহিনী। 

Image

থাইল্যান্ড ও বার্মার সংযোগকারী রেলপথটি ডেথ রেলওয়ে নামে পরিচিত। ৪১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই রেলপথটি তৈরি করতে গিয়ে ১.২০ লাখ মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন বলে ধারণা করা হয়। যুদ্ধপরবর্তী রেল লাইনটি মেরামত করা হয় এবং এর উপর ট্রেন চলাচল শুরু করে। এই পথে সবচেয়ে বিখ্যাত এবং ভীতিকর হল কোয়াই নদীর উপর নির্মিত সেতু। 

Image

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জাপান সিঙ্গাপুর থেকে বার্মা পর্যন্ত ভূখণ্ড দখল করে। এরপর জাপান ভারত মহাসাগর, আন্দামান এবং বঙ্গোপসাগরে তার মিত্রবাহিনীর জাহাজগুলির জন্য বার্মায় একটি নিরাপদ স্থলপথ তৈরি করতে চেয়েছিল। এটির দৈর্ঘ্য ছিল প্রায় ৪১৫ কিলোমিটার। ১৯৪২ সালে রেললাইন নির্মাণের শুরু হওয়া কাজ, যা ১৫ মাসে শেষ হয়।

Image

দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশগুলো থেকে ১.৮০ লাখ যুদ্ধবন্দী এবং মিত্রদেশের ৬০ হাজার যুদ্ধবন্দীদের জোরপূর্বক রেল লাইনের নির্মাণের কাজে লাগানো হয়েছিল। এদের মধ্যে প্রায় ৯০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। এছাড়া জাপানি সেনাদের নির্মম অত্যাচারে ১২ হাজার মানুষ এবং অপুষ্টি ও বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ১৬ হাজার মানুষ মারা যান। এভাবে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার বন্দীদের মৃত্যু হয়েছিল। তবে যুদ্ধের পরপরই বেশিরভাগ রেলপথ ভেঙে ফেলা হয়। থাইল্যান্ডে রেলপথটি ১৩০ কিলোমিটার রয়ে গেছে, এই ট্রেন এখনও ন্যাম টোক পর্যন্ত চলছে।